ছেলেদের প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার
কারণ ও সফল হওয়ার উপায়:
বাংলাদেশসহ কিছু নিম্নমধ্য আয়ের বড় সমস্যা হল
ঃ বেকার সমস্যা । আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বেকার ছেলেরাই বেশি প্রেম করে । যাদের
চলার প্রধান উৎস হল বাবার টাকা । স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে চলে প্রেম করা । আমাদের
দেশে সাধারণত ১২ থেকে ২৬ বয়সের ছেলে এবং ১০ থেকে ২৩ বছরের মেয়েরা প্রেম করে ।
দেশের গ্রামে সাধারণত ১৬ বছরের মেয়েদের বিয়ে
দেওয়া হয় । যার ফলে গ্রামের ছেলেরা জীবনের প্রথমভাগেই প্রেমে ব্যর্থ হয় । কিন্তু
শহরে তার ভিন্ন । মেয়েদের পূর্ণ বয়স হলে
তার পর তার বিয়ে হয় ।
শুধু ছেলেরাই নয় মেয়েরাও প্রেমে ব্যর্থ হয় ।
আসুন জেনে নিই তার কিছু কারণ ।
ছেলেরা প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার কিছু
কারণ নিচে দেওয়া হলঃ
১। প্রতিষ্ঠিত না
হওয়াঃ আমি আগেই বলেছি গ্রামে সাধারণত ১৬
বছরের মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয় । কিন্তু ছেলেটা প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার কারণে
তাদের প্রেম সার্থক হয় না । যার ফলে জীবনের প্রথমভাগেই এসে প্রথম প্রেম হারাতে হয়
।
২। সহপাঠীর সাথে
প্রেমঃ আমাদেশে সাধারণত সমবয়সী বা সহপাঠীর সাথে প্রেম করার হার বেশি । জীবনের
প্রথম প্রেম ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণীর মধ্যে হয়ে থাকে । নিজের ক্লাসের কোন এক
সুন্দরী মেয়েকে তার ভাল লাগে । কিছু দিন তাকে আঁড় চোখে দেখা , ক্লাসের ফাঁকে তার
সাথে কথা বলার চেষ্ঠা করা । পড়া-লিখা বাদ দিয়ে সারাক্ষণ মেয়েটার কথা চিন্তা করা ।
এতে করে তার জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পড়া-লিখার একটি বছর । এস এস সি পরীক্ষার
পূর্বে অথবা শেষে তার প্রথম প্রেমের বিয়ে হয়ে যায় অন্য একটি প্রতিষ্ঠিত ছেলের সাথে
।
৩। নেশাগ্রস্থ
হওয়াঃ কিছু ছেলে আছে যারা অল্প বয়সে বন্ধুদের সাথে মিলে মিশে নেশায় আকৃষ্ট হয় । হারিয়ে
ফেলে তাদের জীবনের মানে । একসময় তারা নানা রকম খারাপ কাজ করে । আর বর্তমান মেয়েরা
নেশাগ্রস্থ ছেলেদের পছন্দ করে না । তারা চায় পরিপাটি ও সুদর্শন ছেলে ।
৪। মধ্যবিত্ত ও
নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারঃ অনেক ছেলে আবার তাদের পরিবারের কথা চিন্তা না করে ভালবেসে
ফেলে মেয়েটাকে । ছেলেটার আবেগ এইটা বোঝতে
চায় না যে বর্তমান মেয়েরা আবেগ চায় না । তাদের চাই এমন কেউ যারা তাদের জন্য
জন্মদিন সহ অন্য বিশেষ দিন গুলোতে গিফট দিবে । প্রতিদিন ফুসকা, বার্গার সহ আধুনিক
চাইনিজ খাওয়াবে । যা মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের জন্য এক রকম
অসম্ভব । ফলে ফুল ফুঁটার পূর্বেই জড়ে যায় মুকুল ।
৫। সামাজিক কারণঃ
আমদের সমাজে প্রেম করে বিয়ে করাকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখা হয় । সকলে ভাবে এতে সমাজে
তাদের মান-সম্মান কম হয়ে যাবে । তাই আমাদের সমাজের কোনো পরিবার প্রেমকে সহজে মানতে
চায় না । পরিবার জোর করে তাদের প্রেমের মুকুলকে হত্যা করে ।
৬। প্রতিষ্ঠিত
প্রতিযোগীঃ সমাজে প্রেমিক ছেলেটি যখন বেকার বা পড়াশুনায় ব্যস্ত তখনি অন্যদিকে তার
প্রেমিকার জন্য আসছে হাজারটা সরকারী চাকরিজীবী ছেলের সাথে বিয়ের প্রস্তাব । ফলে
মেয়েটা কিছু দিন ছেলেটার জন্য অপেক্ষা করলেও অবশেষে ঐ চাকরিজীবী ছেলেটাকেই বিয়ে
করে নিচ্ছে । মেয়েটা যে তখন নিরুপাই । একদিকে তার প্রেমিক বেকার অন্যদিক পরিবারের
চাপ চাকরিজীবী ছেলেটাকে বিয়ে করে সুখি হতে । এক সময় মেয়েটাও নিজের ভবিষ্যতের কথা
চিন্তা করে বিয়েতে রাজি হয়ে যায় ।
সফল হওয়ার উপায়ঃ যদিও বাংলাদেশে ৯৯.৯৯% প্রেম ব্যর্থ হয় । তার
পরও আমি বলবো কিছু প্রেমতো সার্থক হয় । যাদের
প্রেম সার্থক তাদের জীবন গবেষণা করে দেখতে পেলাম যে, তাদের প্রত্যেকের জীবনের একটা
কমন বিষয় আছে । প্রতিটা ছেলে প্রথমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বা সরকারী চাকরী পাবার আশা
আছে এমন ছেলেদের প্রেম সার্থক হয়েছে। তাই আমি সকল ছেলেদের একটাই উপদেশ দিব প্রথমে
প্রতিষ্ঠিত হও তার পর প্রেম কর সফল হবে ইনশাআল্লাহ্।
Comments
Post a Comment